নিজস্ব প্রতিবেদক:আসন্ন ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ভোট গ্রহণের জন্য ৩০ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন।
ঢাকা উত্তর সিটির ৩১ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বীতার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়নও পেয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি প্যানেল মেয়র সিলেটের সাহসী কন্যা ডেইজী সারওয়ার।
পুরো নাম আলেয়া সারওয়ার ডেইজী। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার ০৫নং বুধবারীবাজার ইউপির কুশিয়ারা তীরবর্তী চন্দরপুর গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম রাজনৈতিক পরিবারের জন্ম নেওয়া এক বিপ্লবী সাহসী কন্যার নাম।
ডেইজি সিলেটের মেয়ে হয়ে রাজধানী ঢাকা শহরে নেতৃত্ব দেয়ার এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন। সাহসীকতা ও উন্নয়ন মূলক কাজে সংবাদমাধ্যম শিরোনাম হয়েছেন বহুবার।
বিগত আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন সংরক্ষিত- ১২ নং ওয়ার্ডের (ওয়ার্ড নং ৩১, ৩৩ ও ৩৪) কাউন্সিলর নির্বাচিত হন পরবর্তী প্যানেল মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন।
ডেইজির বাবা বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী মো: মতলিব আলী
তার মামা বাবরুল হোসেন বাবুল ৭১-এ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সিলেট পৌরসভার প্রথম চেয়ারম্যান পরে উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন। চাচা এ কে এম গাউছ সিলেট-৬ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।
সময়ের এই সাহসী কন্যা ডেইজির বেড়ে উটা নগরীর জিন্দাবাজারে, শিক্ষা জীবন শুরু হয় সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, স্কুল জীবন থেকেই ডেইজীর নেতৃত্বের প্রকাশ ঘটে।৭ম শ্রেণিতে অধ্যয়ন কালেই ইয়েলো বার্ড লিডার ও পরবর্তীতে গার্লস গাইড লিডার হিসাবে নেতৃত্ব দেন তিনি।
ডেইজি মেধাবী হওয়ায় লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, লেখালেখি, গান গাওয়া সহ অনেক কিছু সহজে আয়ত্বে করে নিতেন।
অল্প বয়সে ফুটে উটে তার গানের প্রতিভা বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভূক্ত শিল্পী হয়ে নিয়মিত গান গাইতেন তিনি।
সবমিলিয়ে ভবিষ্যত নেতৃত্বের বীজ তখনই তার মধ্যে বোনা হয়ে গিয়েছিল।স্কুল জীবনে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সাক্ষাৎ দিতেন তিনি।
তবে সিলেটে মাধ্যমিকের গণ্ডি পার হতেই চলে যেথে হয় রাজধানী ঢাকার লালমাটিয়ায়।
রাজধানীতে গিয়ে থেমে যাননি এই মানবিক সাহসী কন্যা বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন সেখানেও। প্রতিষ্ঠা করেন মোহাম্মদপুর ক্লাব,এ ছাড়াও কাজ করেন লায়ন্স ক্লাব, এপেক্স ক্লাবসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিচরণ ছিল তার।
২০০০ সাল থেকেই সক্রিয় রাজনীতির মাটে।
বাংলাদেশ যুব মহিলালীগ কমিটি গঠন করা হলে সেখানে প্রতিষ্ঠালিন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক পদ পান ডেইজি। পরবর্তী কমিটি গঠন করা হলে সেখানেও সহ-সভাপতির পদে নির্বাচীত হন ডেইজি সারোয়ার।এতদূর আসার পথে রাজনৈতিক প্রতিহিংসায়ও পড়তে হয় ডেইজিকে। ২০০২ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে কারাবরণ করতে হয়।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজপথেও ছিলেন সক্রিয়। অনির্বায কারণে ফের তাকে গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ করতে হয়।
ডেইজির উন্নয়ন মূলক অগ্রগতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনে জায়গা করে নিয়েছেন সহজে ২০১৩ সালের জাতিসংঘের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ছিলেন ডেইজি।
পরিচ্ছন্ন ঢাকা বাস্তবায়নে মরহুম আনিসুল হকের
অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেয়ার জন্য প্যানেল মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন অবৈধ ও দখলদারদের হাত থেকে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে যে সাহসীকতার পরিচয় দিয়েছেন সারা দেশের মধ্যে একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
বর্তমানে তিনি যুব-মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ।
সবশেষে এবার আর সংরক্ষিত আসনে নয়, সরাসরি কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করার জন্য আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর সাহসী কন্যা ডেইজী সারওয়ার।
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে নৌকার প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ সময় তিনি ডেইজী সারওয়ারের নামও ঘোষণা করেন।নতুন করে আবার তার জয়ের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত।
ডেইজি সারোয়ারের ১৯৯০ সালে এক সেনা কর্মকর্তার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ধাপে ধাপে মাস্টার্স কমপ্লিট করেন।বর্তমানে তিনি দুই সন্তানের মা।সবমিলিয়ে ডেইজি সারোয়ার সিলেটে সহ সারা দেশের কাছে একজন সফল নেতৃত্বদানকারী হিসেবে প্রশংসিত।
সিলেট৭১নিউজ/তাহের